বাঁকুড়ার লোকদেবদেবীর প্রেক্ষিতে কিছু আলোচনা
তুলসীদাস মাইতি
বাংলার লোকসংস্কৃতির ইতিহাসে বাঁকুড়ার লোকদেবতা এক গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন। বলা বাহুল্য, বাংলা লোকসংস্কৃতির অঙ্গনে বাঁকুড়া জেলা একটি আকর জেলা। রাঢ়বঙ্গের এই জেলাটির লোক দেবদেবী নিয়ে আলোচনা করতে গেলে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রসঙ্গ এসে পড়ে। ইতিহাস থেকে জানতে পারি এই জনপদটি বহু প্রাচীন। এখানকার প্রত্নতাত্ত্বিক ও নৃতাত্ত্বিক বহুবিধ আলোচনায় উঠে আসে প্রাচীন ও মধ্যযুগের নানান বিষয় যা এখানকার ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করেছে। এখানকার লৌকিক ধর্মাচারের প্রসঙ্গগুলি এতটাই এই আবহের সঙ্গে জড়িয়ে আছে যে বিষয়টির গভীরে পৌঁছানো হয়তো অল্প পরিসরে সম্ভব নয়; তথাপি এখানকার দেবদেবী বিশেষত লৌকিক দেবদেবী প্রসঙ্গে ইতিহাস অনুষঙ্গ এসে যায়।
বাঁকুড়ার জনপদটির প্রাচীনত্ব নানা সূত্রেই সামনে এসেছে। সংক্ষেপে বলা যায় বিভিন্ন ধর্মাবলম্বী মানুষজন এখানে ছিলেন - জৈনধর্ম, বৌদ্ধধর্ম, ব্রাহ্মণ্য হিন্দুধর্ম, বৈষ্ণবধর্ম, ইসলামধর্ম প্রভৃতি নানা সময়ে এই জনপদে প্রভাব বিস্তার করেছিল। বহু বিবর্তনে ভিন্ন ভিন্ন রূপের নানা ঘটনা পরম্পরায় তাদের অস্তিত্বকে জানান দিয়েছে। এই ধর্মের সূত্র ধরে এখানকার লোক দেবদেবীরও বিবর্তন। এসমস্ত বিষয়ের বিস্তীর্ণ আলোচনায় না গিয়েও এখানকার লোক দেবদেবী নিয়ে আলোকপাত করা যেতে পারে। আলোচ্য প্রতিবেদনে বাঁকুড়ার কিছু ব্যতিক্রমী লোকদেবী নিয়ে আলোচনার মধু দিয়ে বিষয়টির একটা সংক্ষিপ্ত অভিমুখ প্রকাশ করবো।
বাঁকুড়ার লোক-দেবদেবীর ক্ষেত্রে পুরুষ দেবতা এবং স্ত্রী দেবতা এই দুই শ্রেণির প্রভাবই সমান সমান। এখানে শিবঠাকুর, ধর্মঠাকুর, কুদরা, মাদানা, ভৈরব, সন্যাসীঠাকুর, পঞ্চানন্দ, ভানসিং প্রভৃতি পুরুষ দেবতার মত চণ্ডী, রঙ্কিণী, সিনিঠাকুর, বড়মা, বিশালাক্ষী, বাসুলি, সাতবইনী, অম্বিকা, জগতগৌরী, সিদ্ধেশ্বরী, সর্বমঙ্গলা, সিংহবাহিনী প্রভৃতি স্ত্রী দেবতারও পুজো প্রচলিত আছে। তার নির্দিষ্ট থান রয়েছ। মনসা, শীতলা, ষষ্ঠী - এসব জনপ্রিয় ও জাগ্রত দেবীর পুজো প্রচলন তো আছেই। এই নানা স্ত্রীদেবতার মধ্য থেকে কয়েকটি ব্যতিক্রমী দেবতা নিয়ে আলোচনা করা যেতে পারে।
চণ্ডী
বঙ্গদেশে চণ্ডীপুজো সর্বত্র। লৌকিক চণ্ডীর নানারূপ। বাঁকুড়ার প্রায় সর্বত্রই এই পূজার প্রচলন আছে। কোথাও প্রাচীন শিলামূর্তিতে, কোথাও গাছতলায়, কোথাও ত্রিশূল দণ্ডে এই দেবতা পূজিত। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দেবীর পুজো করে থাকে। তবে নিম্নবর্ণের মানুষের দেবী হয়েই তিনি বেশি জাগ্রত। নানা নামে চণ্ডীর আরাধনা। বাংলায় যে নামের চণ্ডী আছে, তার মধ্যে বেশ কয়েকটি নামের চণ্ডী বাঁকুড়ায় বিদ্যমান। আবার ঝগড়াই চণ্ডী, আটবাই চণ্ডীর মত কিছু সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমী দেবীও আছেন। তাছাড়া খুদকুড়ি, তালাইচণ্ডী, বিসিণ্ডা, পুনেচণ্ডী, বসন্তচণ্ডী, বিসইচণ্ডী, রাখালচণ্ডী, লোচনচণ্ডী প্রভৃতি নামের চণ্ডীদেবী এই অঞ্চলে পূজিতা। এগুলির মধ্যে থেকে অন্তত দুটি গুরুত্বপূর্ণ চণ্ডী থানের কথা বিশেষ করে বলতে হয়।
ঝগড়াইচণ্ডী
ঝগড়াইচণ্ডী বিরাজ করেন বাঁকুড়া জেলার জয়পুর সলদা প্রার্থনা ভূখণ্ডের ওপর বৈতল উত্তর বারো মৌজায়। কথিত আছে একদা গাছতলায় পূজিত হত, এখন এখানে মাকড়া পাথরের একটি মন্দিরে দেবীর অধিষ্ঠান। গবেষকগণ মনে করেন ১৬৫৯ খ্রিস্টাব্দে বিষ্ণুপুরের মল্লরাজ প্রথম রঘুনাথ সিংহের আমলে এই মন্দির নির্মিত হয়েছিল। ঝগড়াই চণ্ডীর অন্য নাম মা ঝগড়ভঞ্জনী। প্রস্তর খোদিত মূর্তি। চার ফুট বাই আড়াই ফুট আকারের এই মূর্তিটি বেলে পাথরে তৈরি। মন্দির ঘিরে বহু জনশ্রুতি আছে। মল্ল রাজাদের নানা যুদ্ধের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এই জনশ্রুতির অনুষঙ্গগুলি।
আগেই বলেছি এই দেবী জনপ্রিয় ও জাগ্রত। যেহেতু একটি প্রান্তীয় জন্মভূমিতে এই দেবীর অবস্থান স্বাভাবিকভাবেই বাঁকুড়া হুগলি এবং পশ্চিম মেদিনীপুরের একটি প্রান্তে বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ আসে এই দেবী থানে। তারা পুজো দেয়, মানত করে। এখানে প্রতিদিন দেবীর পুজো হয়, তবে প্রতি মঙ্গলবার এবং শনিবার বিশেষ রূপে পুজো হয়। মানত করা ছাগবলিও হয়ে থাকে। নানান মনোবাঞ্ছা পূরণ করার অভিপ্রায়ে মানুষ যেমন আরাধনা করে থাকে তেমনি বহুবিধ রূপ জ্বালা দূর হয় বলে এখানকার মানুষের বিশ্বাস। লোকের আরো বিশ্বাস এখানে পুজো দিলে দেবী মানুষের কলহ দূর করেন। এমনকি মোকদ্দমায় জয়লাভও নাকি হয়ে থাকে দেবী সন্তুষ্ট হলে। মানুষের বিশ্বাস, তিনি ঝগড়া করেন বলেই তার নাম ঝগড়াই চণ্ডী। দেবীর স্নানজল, ফল, বেলপাতা ইত্যাদি নিয়ে যাওয়া হয় রোগ নিরাময়ের জন্য। পুরোহিতেরা কবচ তৈরি করেন, আবার ওষুধ তৈরি করেও ভক্তদের দেন।
নির্দিষ্ট ব্রাহ্মণ পরিবারই কেবল ঝগড়াই চণ্ডী পূজা করেন। অনেকে মনে করেন দেবী যখন গাছতলায় ছিলেন তখনও ব্রাহ্মণরা এই দেবীর আরাধনা করতেন। এখন স্থানীয় সন্তকী পরিবার এই পুজো করে থাকেন। দীর্ঘকাল তারাই এই কাজ করে আসছেন। তাদের আগের পদবি ছিল চ্যাটার্জি। মল্লরাজারা তাদের উপাধি দেন সন্তকি। পরিবারের অনেকগুলি শরীক পালা করে এই পুজো করেন। পুজোর দায়িত্বে যিনি থাকেন, সেদিন পাশের রান্নাঘরে তিনি অন্নভোগ রান্না করেন। ভাত, তরকারি এবং মাছ প্রতিদিন রান্নার পদ। ভক্তজন সহ অনেকেই এই অন্ন গ্রহণ করেন।
এখানকার ‘কাদাখেলা’ উৎসব একটি গুরুত্বপূর্ণ সাংস্কৃতিক উৎসব হিসেবে পরিচিত। বিজয় আর বিকেলে এলাকার সাতটি পুকুরের জল এনে একটি নির্দিষ্ট স্থানে বেঁধে রাখা হয়। জলকাদা এবং ছাগবলির সামান্য রক্ত মিশিয়ে দেয়া হয়। প্রথমে জলক্রীড়া পরে কর্দমক্রীড়া চলে। আশেপাশের বহু মানুষ এই খেলায় অংশ নেন এবং উপভোগ করেন। মল্ল রাজাদের যুদ্ধ জয়ের ইতিহাস এই বিষয়টির সঙ্গে জড়িয়ে আছে।
আটবাইচণ্ডী
বাঁকুড়া জেলার আরেকজন চণ্ডীর পরিচয় পাই ইন্দপুর থানার আটবাইচণ্ডী গ্রামে। দেবীর নামে গ্রামের নাম। পাথর ক্ষুধিত মূর্তিটি একটি ব্যতিক্রমী মূর্তি। বলা বাহুল্য মূর্তিশিল্পের বৈচিত্র্য দক্ষিণ পশ্চিম বঙ্গের মূর্তি শিল্পের ইতিহাসে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সাধারণভাবে গা ছমছমে, ভয়াবহ এই মূর্তিটি দেখে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। পুরাতাত্ত্বিকেরা মূর্তিটির নানা রকমের বিশ্লেষণ করেছেন। দৈর্ঘ্যে প্রায় প্রায় দু’ফুট। মূর্তিটি কুসুম কুচলা তলায় অধিষ্ঠিত। নাম অনুসারে আটবাহু মনে হলেও আসলে দশ বাহুযুক্ত মূর্তি। রুদ্র ভাবের দেবী। কঙ্কালসার দেহ। গবেষকগণ নানা ভাবে দেবীর বর্ণনা দিয়েছেন। দশ হাতে অস্ত্র কিংবা মুদ্রা। ডানদিকের দশ হাতে ক্রমান্বয়ে মুদ্রা, কৃপাণ, পানপাত্র ও উন্মুক্ত তরবারি, অন্যদিকে বাঁ দিকের হাতে যথাক্রমে নরমুণ্ড, মুদ্রা, মাথার খুলি, চতুর্থ আগুন মুখে কামড়ানো ও পঞ্চম আঙুলে আরেক উন্মুক্ত তরবারি। কোমরে ঝুলন্ত ছড়া, গলায় দীর্ঘ লম্বিত মুণ্ডমালা, রুদ্রাক্ষ মালা, কানে বৃহৎ কুণ্ডল। চোখদুটি কোটরাগত। কপালেও বেষ্টিত মুণ্ডমালা, মাথার চুল চূড়া করে বাঁধা। তাতে একটি মাথার খুলি। দেহটা যেন এক নরকঙ্কাল। লোকদেবী চণ্ডী হিসেবে পূজিত হচ্ছে। এলাকার মানুষ জাগ্রত দেবী হিসেবে তাকে দীর্ঘকাল ধরে সমীহ করে আসছে।
বসন্তচণ্ডী
বাঁকুড়া জেলার বালিঠা গ্রামের পূজিত গ্রাম্যদেবী বড়মা অর্থাৎ বসন্তচণ্ডী। গ্রামের নির্জন প্রান্তে তেঁতুল গাছের তলায় রয়েছেন বড়-মা, এখন অবশ্য পাকাঘর হয়েছে। দেবীর থানে কয়েক দশক আগে নির্মিত হয়েছে একটি ভোগমণ্ডপ ও ভাঁড়ার ঘর। দেবী একটি বড় শিলাখণ্ড। মুখমণ্ডলের আকারে। ধাতু নির্মিত তিনটি চোখ। মাটির কামিন্যা মুণ্ডমূর্তিও আছে। আছে ভৈরব ও মনসা। পরে ছোট মায়ের মূর্তি তৈরি হয়েছে। প্রতিদিন পুজো হয়। বার্ষিক পুজো হয় মাঘমাসের ২ ও ৩ তারিখ। মানসিক করা ছাগ বলি হয়। বারুণী উৎসবও পালিত হয়।
বাঁকুড়ার আরো কিছু গ্রামে চণ্ডীর পুজো হয়ে থাকে। শুশুনিয়ার কাছে নাচনচণ্ডী যেমন আছে, তেমনি প্রশ্নভূমি পোখরনা গ্রামে কয়েকটি গ্রাম্য চণ্ডীর থান আছে। শীতলপুর অধিকারীপাড়া ও বৈষ্ণবপাড়া নামের গ্রামেও চণ্ডীর অধিষ্ঠান। এগুলিকে ঘিরে নানান জনশ্রুতিও প্রচলিত আছে।
লাউগ্রমের দণ্ডেশ্বরী
বাঁকুড়ার কোতুলপুর থানার অন্তর্গত লাউগ্রামের দেবী দণ্ডেশ্বরী এক উল্লেখযোগ্য লোকদেবী। লৌকিক সংস্কৃতির ইতিহাসে এটি একটি বিশিষ্ট স্থান অধিকার করে আছে। গবেষকগণ মনে করেন এটি জেলার প্রাচীনতম দেবী। কেউ কেউ মনে করেন লাউ গ্রামে মল্ল রাজবংশের আদি পুরুষ রঘুনাথ বা আদি মল্ল এই দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। জনশ্রুতি আছে একসময় এই অরণ্য অঞ্চলের মধ্য দিয়ে যাতায়াতের সময় পথগুলির যারা দেখাশোনা করত, তারা কিছু দণ্ড নিত। পরে তারা শাসনকর্তা হয়ে ওঠে। এখানে মল্ল রাজারা তাই করত। তারাই দণ্ডেশ্বরী দেবীর প্রতিষ্ঠা করেন। দেবী মূর্তি প্রস্তর নির্মিত। ধাতু নির্মিত চোখ, মুখ বসানো আছে। ওই বংশের পরবর্তী রাজারা মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন মনসা, শীতলা, জগদ্ধাত্রী প্রভৃতি দেবী এখন মন্দিরে পূজিত হয়। প্রতিদিন মাছ সহ দেবীর অন্নভোগ হয়। বহু রকমের কিংবদন্তি এখানে ছড়িয়ে আছে। বছরের নানা সময়ে বিশেষ পূজা হয়, তবে জ্যৈষ্ঠ মাসের দশহরার দিন জাঁকজমক সহ পুজো হয়, মানত করা ছাগ বলি হয়। এলাকার জাগ্রত দেবী। উচ্চবর্ণের দেবদেবী ও নিম্নবর্ণের দেবদেবী একসাথে অবস্থান করে বলে এই দেবীর থানের বিশেষ গুরুত্ব আছে। এখানকার সয়লা উৎসব বিখ্যাত।
সিনিঠাকুর
বাঁকুড়া তথা রাঢ়বঙ্গের আনাচে-কানাচে সিনি ঠাকুরের অবস্থান। সিনি নামান্তক গ্রাম দেবীর পূজার্চনার আয়োজন গুরুত্বপূর্ণ। নামবৈচিত্র্যে সিনির অনেক আলোচনা আছে। বাঁকুড়া জেলার বহু নামে সিনির অবস্থান। বহুবিধ নামগুলোর মধ্যে আঙ্করসিনি, আঁধারসিনি, কুদরাসিনি, খেতরাসিনি, কুশসিনি, বাঘরাসিনি, কিয়াসিনি, বঙ্গাসিনি, এরকম প্রায় শত রকমের সিনিঠাকুর।
জেলার সর্বত্র সিনি। ড. মিহির চৌধুরী কামিল্য বাঁকুড়ার এমন ৯৬টি সিনি থানের উল্লেখ করেছেন। বহু থানে খুব ঘটা করে পূজিত হয়ে থাকে। নিম্নবর্ণের মানুষ, আদিবাসী কিংবা উপজাতীয় লোকেরাই সিনি ঠাকুরের পুজো করে থাকেন। বাগদি, লায়েক, মুচি, বাউরি প্রভৃতি জনজাতির লোক সিনিপুজো করে থাকেন। ভিন্ন ভিন্ন থানে ভিন্ন ভিন্ন সময়ে বিশেষ পুজো অনুষ্ঠিত হয়। দেবীর মূর্তি কোথাও আছে, কোথাও নেই। কোথাও হাতি, ঘোড়া, কোথাও বা মাকড়া পাথর। কোথাও শুধুই গাছতলায় দেবীর পুজো।
রঙ্কিণী দেবী, বাশলী দেবী ও সাতবইনি প্রভৃতি নানা প্রকার দেবীর পুজোও বাঁকুড়ার নানা প্রান্তে অনুষ্ঠিত হয়। বছরের নানা সময়ে এই সকল দেবীর পূজার্চনা ও তাকে ঘিরে নানান আয়োজন এই জনপদের সংস্কৃতিকে নানা ভাবেই প্রভাবিত করেছে। কিছু কিছু জাগ্রত থানে মানুষের ভিড় ও আগ্রহ দীর্ঘকাল ধরে চলে আসছে। অল্প পরিসরে এ সমস্তকিছুকে তুলে ধরা সম্ভব নয়, এই আলোচনা বিন্দুতে সিন্ধু দর্শনের অনুষঙ্গ মাত্র। রাঢ়বঙ্গের এই জেলাটির লোক দেবদেবীর বৃহৎক্ষেত্রটি আলোচনার একটি ক্রম পর্যায়ের ভূমিকা রূপেই থাকলো এই প্রতিবেদন।
…………….
No comments:
Post a Comment