প্রবন্ধঃ বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস - ইন্দ্রনীল মজুমদার


বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের ইতিহাস


ইন্দ্রনীল মজুমদার



 “ ধনধান্যে পুষ্পে ভরা 

আমাদের এই বসুন্ধরা।”

 

বর্তমান সময়  সেই বসুন্ধরাই এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলেছে। সেই কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কোন মহামারীর আতঙ্কের জেরে। বিশ্বের সব দেশকেই বলতে গেলে লকডাউন বা শাটডাউনের মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। যদিও লকডাউনের ফলে সাধারণ মানুষের কিছু অসুবিধা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু প্রকৃতি যেন ফুটে উঠেছে এই লকডাউনের সময়টাতে। আকাশ পরিষ্কার হয়ে উঠেছে আর সেই পরিষ্কার আকাশ যেন ভরে উঠেছে নানা গ্রহ-তারায়। বিভিন্ন জায়গায় নানা অজানা পাখির দল উড়ে বেড়াচ্ছে, নানা ধরনের পশু যাদের অনেকদিন দেখা যায়নি তাদেরও দেখা যাচ্ছে। আবার বায়ুমণ্ডলে ওজোন স্তরের ফুঁটোর মেরামত হচ্ছে। প্রকৃতি যেন বহু বছর বাদে প্রাণ ফিরে পেয়েছে। আর পাবে নাই বা কেন, লকডাউনের ফলে দূষণমাত্রা যে অনেকটাই কমে গেছে। আজকের দিনে দাঁড়িয়ে,পরিবেশ দূষণ তার সাথে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন যেন এক গুরুত্বপূর্ণ ভাবনা ও চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এই ভাবনা ও চর্চার ফলে জাতিসংঘ একটি দিবসের নির্ধারণ করেছে। সেই দিবসটি আমাদের পৃথিবীকে নিয়েই যার নাম ‘ধরিত্রী দিবস’ এবং এই দিবসটি পালিত হয় প্রতি বছর ২২শে এপ্রিলে। অর্থাৎ, কয়েকদিন আগে লকডাউনের মাঝে গৃহবন্দী অবস্থাতেই আমরা এই দিবসটি পালন করে এলাম। আন্তর্জাতিকভাবে পালিত এই ধরিত্রী দিবসের উদ্দেশ্য হল বিশ্বের প্রকৃতি ও পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা ও ভালোবাসা তৈরি করা। কিন্তু সবসময় পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি ভাবা হয়নি। কিভাবে সেই ভাবনা এলো এবং অবশেষে বিশ্বজুড়ে পালিত হয় এমন একটি দিবসের মাত্রা পেল সে সম্পর্কে দু’-চার কথা আলোকপাত করা হবে এই নিবন্ধে।


ঘটনাটা শুরু হয়েছিল গত শতাব্দীর ষাটের দশকে। সেই সময় অনিয়ন্ত্রিত শিল্পায়নের ফলে জল, বায়ু, মাটি সহ সবকিছুই দূষিত হয়ে পড়ছিল। এর ফলে পরিবেশ দূষণ এক বিশাল আকার নিয়েছিল। তখন গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো বিষয়টা ছিল যে এই পরিবেশ দূষণ রোধ করার বা প্রতিকার করার কোনো আইন ছিল না। আজ থেকে ষাট বছর আগে, ১৯৬০ সালের শুরুর দিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকন্সিনের সিনেটর গেলরড নেলসন বিশ্বের প্রাকৃতিক পরিবেশের যা হাল তা আস্তে আস্তে মানুষের বসবাস করার জন্য অযোগ্য যে হয়ে উঠছে এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা-ভাবনা শুরু করেন। তিনি এই বিষয়টি নিয়ে আলাপ-আলোচনার জন্যে ১৯৬২ সালের শেষের দিকে ওয়াশিংটনে অ্যাটর্নি জেনারেল রবার্ট কেনেডির কাছে যান। ১৯৬৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে তখনকার আমেরিকার প্রেসিডেন্ট তাঁর একাদশ রাষ্ট্র সংলাপ ভ্রমণে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন বলে ঠিক করেছিলেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, এই বিষয়টি নিয়ে শেষ পর্যন্ত কোনো সফল বা ফলপ্রসূ আলোচনা হয় নি। নেলসন কিন্তু এতে থেমে যান নি, তিনি লাগাতারভাবে পরিবেশ সচেতনতা প্রচার করে চলেছিলেন। 


গেলরড নেলসনের বিষয়টিকে মানুষ প্রথমদিকে তেমন গুরুত্ব দেয়নি। কিন্তু অবিরাম প্রচারের ফলে আস্তে আস্তে বিষয়টি বহু মানুষ বুঝতে পারেন। অর্থাৎ, নেলসনের পরিবেশ সংক্রান্ত বিষয়টি সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতার বৃদ্ধি ঘটায়। নেলসনের লাগাতার প্রচার ও অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে অবশেষে তাঁর বিষয়টি সাধারণ মানুষ এবং সরকারি মহলে বিশেষ গুরুত্বলাভ করে।আর আরও গুরুত্বলাভ করেছিল এরই মাঝে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার দ্বারা।


১৯৬৯ সালে আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে তেল উপচে পড়ে। এর ফলে, এক বিশাল বিপর্যয় ঘটে। এই দুর্যোগ গেলরড নেলসনকে অত্যন্ত বিচলিত করে তোলে। গেলসন ভাবতে শুরু করেন, কি করা যায় এইসব দুর্ঘটনা এড়াতে, পরিবেশ বাঁচাতে ইত্যাদি চিন্তা-ভাবনা। সেই সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ভিয়েতনামের যুদ্ধ চলছিল। যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিকামী ও যুদ্ধবিরোধী ছাত্রসমাজ এই যুদ্ধের বিপক্ষে গিয়ে শক্ত অবস্থান নিয়েছিল এবং যুদ্ধের বিরুদ্ধে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। গেলসন সেই মুহূর্তে চাইলেন ওই যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের শক্তি পরিবেশ সুরক্ষার আন্দোলনেও যেন কাজে লাগে। তিনি তাঁর এই লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে গণমাধ্যমে পরিবেশ বিষয়ক শিক্ষার জন্য একটি দিন পালন করার ঘোষণা করেন। তিনি এর সাথে রিপাবলিকান রক্ষণশীল সিনেটর পিট ম্যাকক্লাওয়াস্কিকে রাজি করান যাতে তাঁর সাথে তিনিও সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন। আবার এর সাথে ওই ঘোষিত দিবসটি যাতে সারাদেশে সফলভাবে পালিত হয় তার জন্য জন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেনিস হেয়েসকে জাতীয় সমন্বয়কারী বানান। দিবসটিকে সফল করার জন্য হেয়েস ৮৫ জনের একটি দল গঠন করেন। অবশেষে, ১৯৭০ সালের ২২শে এপ্রিল সরকারিভাবে ‘ধরিত্রী দিবস’ পালন করার দিন হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। সেই দিন অর্থাৎ ২২শে এপ্রিলে প্রায় কুড়ি লক্ষ মার্কিন নাগরিক বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রথম ‘ধরিত্রী দিবস’ বা ‘আর্থ ডে’ পালন করেছিলেন। তখন নেলসন এই ধরিত্রী দিবসের নাম দিয়েছিলেন ‘এনভায়রমেন্টাল টিচ-ইন’। সত্যিই, গোটা বিশ্বের মানুষকে পরিবেশ সংক্রান্ত শিক্ষা দেওয়ার দিন বটে ২২শে এপ্রিল! যাইহোক, প্রথম ধরিত্রী দিবসে আমেরিকার বিভিন্ন কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে ধরিত্রী দিবসের নানান কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। তখন অনেক প্রতিষ্ঠান ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যারা ইতিমধ্যেই পরিবেশ দূষণের বিরুদ্ধে কাজ করে চলছিল। তারাও প্রথম ধরিত্রী দিবসে  শিল্পায়ন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ ও কীটনাশক সহ ইত্যাদির বিরূপ প্রভাবের বিষয়টি আলোকপাত করেছিলেন।

 

ধরিত্রী দিবসের ফলে সেই বছরেই যুক্তরাষ্ট্রে ‘এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। এই এজেন্সির কাজ হল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশ সংরক্ষণের জন্য নানান ধরণের পদক্ষেপ নেওয়া আর সেই পদক্ষেপগুলি পূরণের লক্ষ্যে আইন প্রণয়ন, গবেষণা, অনুদান প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করা। এই প্রথম ধরিত্রী দিবসের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ফল হল যুক্তরাষ্ট্রে সর্বপ্রথম দূষণমুক্ত বায়ু, জল এবং বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতি সংরক্ষণের জন্য আলাদা আলাদা আইন প্রণয়ন করা। পরিবেশবাদী আন্দোলনের উৎপত্তি হিসেবে ২২শে এপ্রিলকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৯৭০ সাল থেকে ওই দিনটি ধরিত্রী দিবস পালিত হয়ে আসছে। বর্তমানে পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই সরকারিভাবে এই দিবসটি পালন করা হয়। উত্তর গোলার্ধের মানুষ ধরিত্রী দিবস পালন করে বসন্তকালে আর দক্ষিণ গোলার্ধের মানুষ তা পালন করে শরৎকালে। 


১৯৯০ সালে ধরিত্রী দিবসের মুকুটে একটি সোনার পালক যুক্ত হয়। সে বছর জাতিসংঘ তাদের বাৎসরিক পঞ্জিকায় ধরিত্রী দিবসকে স্থান দেয় এবং তাদের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোতে এই দিবসটি পালনের জন্য উৎসাহ দিতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ডেনিস হেয়েসের উদ্যোগে সে বছর থেকে ধরিত্রী দিবস বিশ্বব্যাপী পালিত হওয়া শুরু হয়। এর ফলে, এই কুড়ি বছর যা ছিল কেবল ধরিত্রী দিবস তা ১৯৯০ সাল থেকে ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হতে শুরু করে। ১৯৯০ সালেই ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ পালিত হয় বিশ্বের ১৪১টি দেশে। ওই বছরে, ব্যবহৃত দ্রব্য পুনর্ব্যবহারের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।


১৯৯২-এ ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আয়োজিত ধরিত্রী সম্মেলনেও বিশেষ প্রভাব ফেলে এই বিশ্ব ধরিত্রী দিবস। ১৯৯৫ সালে অর্থাৎ যে বছর ধরিত্রী দিবস ২৫তম বর্ষে পদার্পণ করেছিল সে বছর ধরিত্রী দিবসের প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে গেলরড নেলসনকে ‘প্রেসিডেন্সিয়াল মেডেল অব ফ্রিডম’ প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য এই যে, এই মেডেল যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে সম্মানজনক বেসামরিক খেতাব।


এই শতাব্দীর শুরুতে অর্থাৎ ২০০০ সালে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসের দিনে পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তন আটকাতে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করার জন্য ব্যাপক প্রচার করা হয়। ওই বছর ১৮৪টি দেশে প্রায় ৫০০০ পরিবেশবাদী সংগঠন বিশ্ব ধরিত্রী দিবসকে সফল করার জন্য কাজ করে।


২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে বিশ্বের নানা দেশের রাষ্ট্রনেতারা পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে একটি সার্বজনীন চুক্তি সই করে উঠতে পারেন নি। এর প্রভাব ২০১০ সালের ‘৪০তম বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’-টি বড়োই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। তা এতটাই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল যে সে বছর ধরিত্রী দিবসের দিনে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই লক্ষ মানুষের একটি বড়ো সমাবেশ হয়। এছাড়াও, আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হল ‘এ বিলিয়ন অ্যাক্টস অফ গ্রীন’ নামে একটি ক্যাম্পেইন শুরু করা।এই ক্যাম্পেইনের আওতায়  মানুষকে পরিবেশ রক্ষার জন্যে বৃক্ষরোপণ, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করা, প্লাস্টিক দূষণ বন্ধ করা, মাংস কম খাওয়া সহ বিভিন্ন ধরনের পরিবেশ বান্ধব কাজে উৎসাহ বা অনুপ্রাণিত করা হয়। উল্লেখ্য, এই ক্যাম্পেইনটিতে বর্তমানে দুই বিলিয়নেরও বেশি কর্মসূচি তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।


বর্তমান সময়ে বিশ্ব ধরিত্রী দিবসকে পৃথিবীর বৃহত্তম অসাম্প্রদায়িক দিবস বলা যায়। এই দিবসটি সারা বিশ্বের এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করে থাকে। এখানে উল্লেখযোগ্য এই যে, এই দিবসটির সাথে বিশেষভাবে সম্পর্কে জড়িয়ে থাকে যে দিবসটি তার নাম হল ‘বিশ্ব পরিবেশ দিবস’ যা প্রতি বছর পালন করা হয় জুন মাসের ৫ তারিখে।


আর, এভাবেই প্রত্যেক বছরই নানান কর্মসূচির দ্বারা সারা বিশ্ব জুড়ে ২২শে এপ্রিল ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ পালন করা হয়ে থাকে। এই দিবসটির মূল উদ্দেশ্য হল নতুন বা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামনে এক সুন্দর,নির্মল, পরিবেশ দূষণমুক্ত পৃথিবী উপহার দেওয়া।


কিন্তু, দুর্ভাগ্যের বিষয় এই যে, যখন ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ তার ৫০তম বর্ষ অর্থাৎ সুবর্ণজয়ন্তীতে পদার্পণ করল তখন গোটা বিশ্বে করোনার আতঙ্ক গ্রাস করেছে। তবে, এই করোনা নামক ক্ষুদ্র ভাইরাসটি বিশ্বের তাবড় তাবড় মানুষ সহ সর্বস্তরের মানুষকে এক জব্বর শিক্ষা দিয়ে গেল। যেন এক অদৃশ্য প্রকৃত শিক্ষকের ভূমিকা পালন করে মানুষকে বারবার হাত সাবান দিয়ে ধুতে, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখতে ও যত্রতত্র ময়লা বা থুতু না ফেলার বার্তা বহন করে চলেছে এই ভাইরাসটি। আর এই লকডাউনের ফাঁকে প্রকৃতি পুনর্গঠন অর্থাৎ আসল কাজটি করে চলেছে। বলতে পারি যে, এই অতিক্ষুদ্র খালি চোখে না-দেখা ভাইরাসটি আমাদের পরিবেশ রক্ষার পাঠও শিখিয়ে দিল যা আমরা শিখছি ‘বিশ্ব ধরিত্রী দিবস’ সহ এই লকডাউনের প্রতিটি দিনেই।


লেখক পরিচিতি



ইন্দ্রনীল মজুমদার তাঁর সাহিত্যে কাজকর্মের জন্যে এরইমধ্যে লাভ করেছেন বেশ কিছু পুরস্কার। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ- ‛বীণাপাণি সাহিত্য সম্মান(২০২০)’, ‛বিভা চক্রবর্তী স্মৃতি পুরস্কার(২০১৯)’, অন‍্যতম বৃহত্তম ও শ্রেষ্ঠ অনলাইন সাহিত্যমূলক প্ল‍্যাটফর্ম স্টোরিমিরর থেকে পেয়েছেন ‛Author Of The Week’ ও ‛Best Content Of The Week’ সম্মাননা। বিজ্ঞান ও বিজ্ঞানী ওয়েবজিন আয়োজিত বিজ্ঞান ও পরিবেশমূলক প্রবন্ধ প্রতিযোগিতায় তাঁর লেখা অন‍্যতম সেরা প্রবন্ধ হিসেবে নির্বাচিত হয়।



No comments:

Post a Comment