দেবদূত
রুমেলা দাস
‘বুঝতে পারছেন না কেন? পাঁচতলার ওপরে লিফ্ট ছাড়া কেউই জল তুলতে রাজী হয় না। আমার হাজব্যান্ডের কোমরে একটা পুরোনো ব্যাক পেন আছে। ভারী জিনিস তোলা মানা। আর আমার পক্ষেও তো...’
‘আপনাদের কথা ভাবতে গিয়ে গোটা ফ্ল্যাটকে বিপদে ফেলব নাকি মশাই?’
‘সত্যি বলছি এরকম জানলে আমি ঘর ভাড়াই নিতাম না। আপনারা আমাদের দিকটা একবারও ভাববেন না?’
‘আহঃ চৈতি ছাড়ো। আমাকেই করতে হবে। কথা বাড়িয়ে লাভ কি?’
‘তুমি চুপ করো তো। মেলা ফ্যাচ ফ্যাচ করো না। আমাকে কথা বলতে দাও।‘
ঋভুকে এক ধমক দিয়ে ল্যান্ডলর্ডের দিকে তাকিয়ে চৈতি বলে,
‘তাহলে এক কাজ করুন। যে টাকাটা আমরা বাইরে জলের লোককে দিচ্ছি। সেটা এখন থেকে আপনারা নিন। বদলে আপনাদের অ্যাকোয়াফ্রেশের জল দিন। এত করে বলতাম না জানেন, আমার ঘরে একটা ৪ বছরের শিশু। মা কলকাতা থেকে এসে আটকে পড়েছেন। তাঁরও হাই-প্রেশার, সুগার...।‘
কথা ক’টা বলে চৈতি সাহায্যের আশায় প্রায় মিনিট তিনেক ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়েছিল মারাঠি ভদ্রলোকের দিকে। কিন্তু উল্টোদিক থেকে কোনও সদর্থক উত্তর না পেয়ে রাগে গজগজ করতে করতে পাঁচতলায় উঠে যায়।
সত্যি সত্যি, সমস্যাটা যে এই পর্যায়ে পৌঁছে যাবে ভাবেনি চৈতি, ঋভু দুজনেই। ছ’মাস হন্যে হয়ে হায়দ্রাবাদের অলিতে গলিতে ঘুরে তবে মনের মত একটা ফ্ল্যাট ভাড়া পেয়েছে এই বছর জানুয়ারিতে। দু’মাস গেল কি গেল না লক ডাউন। সাধে কি বলে অভাগা যেদিকে যায় সাগর শুকায়ে যায়। হায়দ্রাবাদ মেট্রোসিটি। ভারতের আইটি হাব। টাকা ছড়ালে না মেলে এমন জিনিসও নেই। তবে বাইরে থেকে দেখে কি আর সব বোঝা যায়? এই দু’বছরে ভালমতন বুঝেছে রোজকার জীবনযাপনে এ শহরে একটা বড় সমস্যা পানীয় জল। ভাড়া বাড়ি। বাড়িগুলোয় কর্পোরেশনের জলের যেটুকু লাইন আছে সেটার প্রথম হক বাড়িওয়ালাদেরই। পাশাপাশি হোস্টেল, অস্থায়ী ভাড়াটিয়াদের উপায় বলতে ২০লিটারের লোকাল জলের জার। স্থানীয় ছেলেপুলেদের হাতে ৫০-৬০/ টাকা ধরিয়ে দিলে ওরা জল দিয়ে যায়। ঝামেলাটা পেকেছে লকডাউন হওয়াতেই। বাড়িওয়ালা কিছুতেই বাইরের লোককে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দিচ্ছেন না। বলছেন,‘বাইরের লোক মানেই ভাইরাস। জল দেওয়া ছেলেগুলো রাজ্যের জায়গায় ঘোরে। কিছু একটা হয়ে গেলে কি হবে বলুন তো? আমার ঘরে ৮মাসের নাতনী।‘
আরে বাবা! ওঁনার ঘরে যেমন ৮মাসের নাতনী আছে। চৈতির ঘরেও তো ৫বছরের কম একটা বাচ্চা আছে। ওদের বাচ্চার জীবনের দাম আছে আর চৈতির বাচ্চার নেই? কেন? ওরা ভাড়াটে বলে?
‘কী রে বাড়িওয়ালা কি বলল?’ ঘরে ঢুকতে না ঢুকতেই চৈতির মা কাঁচুমাচু মুখ করে জিজ্ঞাসা করেন মেয়েকে। বোঝাই যাচ্ছে মেয়ের বাড়ি বেড়াতে এসে তিনি পড়েছেন মহা ফাঁপড়ে। করোনার টলমল পরিস্থিতিতে তাঁর মানসিক ও শারীরিক উদ্রেক কমছে না বরং বেড়ে চলেছে।
‘কি আবার বলবে? আমরা মরি কি বাঁচি তাতে তাঁর কিছু এসে যায় না। উনি পরিষ্কার বলেই দিলেন বাইরের লোককে ফ্ল্যাটে ঢুকতে দেবেন না। তাতে যা হওয়ার হোক।‘
‘তাহলে কি হবে বল তো?’
‘শুকিয়ে মরব সবাই মিলে! এরা শুধু টাকা চেনে।‘
“আহঃ! চৈতি। মাথা গরম করছিস কেন? কিছু না কিছু একটা ব্যবস্থা নিশ্চয়ই হবে। একবার তালগোলে এখানে এসেই যখন পড়েছি। একটা না একটা ব্যবস্থা কিছু করব।“ মুখ খোলেন সুবিনয়বাবু, চৈতির বাবা।
‘তুমি আর কি করবে বাপি? আমি তো একটু আগে বাড়িয়ালাকে প্রপোজালও দিলাম। ওদের খাবার জল থেকে যদি আমাদের কিছুটা দেয়...। অন্ততঃ তোমাদের জন্য আর বাচ্চাটার মত যদি পেতাম! বাকিটা ট্যাঙ্কের জল থেকেই নাহয় ফুটিয়ে নিতাম। তিনি তাতেও রাজি নন। একবার ঋভুর দিকে তাকিয়ে দেখো, এই পাঁচতলায় ২০লিটারের জল তোলা কি চাট্টিখানি কথা? ওর ব্যাকপেনটা একবার চাগাড় দিয়ে উঠলে...’
‘চৈতি এত টেনশন করো কেন? কিছু হবে না আমার।‘ স্ত্রীকে আশ্বস্ত করে ঋভু।
‘আচ্ছা আমি একটা কথা বুঝতে পারছি না। আমরা ছাড়াও তো এত বড় ফ্ল্যাটে লোক আছে। কই তারা তো কিছু বলছে না। জল ছাড়া চলে নাকি? কলকাতা হলে এতক্ষণে ফাটাফাটি লেগে যেত। এখানে কেমন যেন সব চুপচাপ।‘ চৈতির মা বলেন।
‘সিটি অফ জয় কি সাধে বলে। সবকিছুতেই হুল্লোড় আমাদের।‘ পরিবেশ হালকা করতে ফুট কাটে ঋভু।
‘তুমি তো ঘর থেকেই বেরোও না মা। ২২শে মার্চ লকডাউনটা হওয়ার পর পরই যারা ছিল বেশিরভাগই ঘরে তালা দিয়ে যে যার নিজের বাড়ি পালিয়েছে। অফিস বন্ধ। বাচ্চাকাচ্চা আছে এমন ফ্যামিলিও দেখিনি। তাই স্কুলের কোনও প্রশ্নই নেই। ছাদের ঘরে দেখেছিলাম দুটো ছেলে ভাড়া থাকে। ওদের কী খবর জানি না। যত ঝামেলা আমাদের। চার-চারটে বড় মানুষ, একটা বাচ্চা...। কি যে করি?’
‘অত চিন্তা করিস না চৈতি।‘ সত্তরোর্ধ্ব সুবিনয়বাবু চৈতিকে আবারও প্রবোধ দিতে চেয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু চৈতির মনে হচ্ছিল বিকেলের খোলা জানলার ওপারটা একটু একটু করে গাঢ় কালো হয়ে আসছে। এলোমেলো উড়ে চলা পাখিগুলো কী এক আশঙ্কায় আজ যেন একটু তাড়াহুড়ো করেই বাসায় ফিরছে। হঠাৎ করে পৃথিবীর সব মানুষ তাদের দিনরাত, জীবনমরণ করোনা নামক এক অদৃশ্য ভাইরাসের কবলে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই অন্ধকার কাটবে কবে?
**
‘না ঠিক আছে। তেমন কিছু না।‘
‘কিছু না বললেই হল? টানা পাঁচদিন জল তুলেছ। ব্যাথার আর দোষ কোথায়? ঋভুর পিঠে মলম লাগাতে লাগাতে বলে চৈতি।
পরিস্থিতি দিন কে দিন খারাপ হচ্ছে। নিউজ চ্যানেল খুললেই একের পর এক শুধু মানুষের মৃত্যুসংবাদ। নিজের জন্ম শহরে থাকলেও না-হয় কথা ছিল। অচেনা জায়গায় ‘ভয়’ যেন আরও জাঁকিয়ে বসে। অনেক চেষ্টাচরিত্র করে পাঁচতলার ওপরে এই দক্ষিণ খোলা ফ্ল্যাটটা পেয়েছে চৈতিরা। সুবিধা আরও একটা পাওয়া গেছে। বাড়িওয়ালা মারাঠি। হিন্দি বোঝেন। এখানকার স্থানীয় তেলেগুদের মত নন। চৈতি হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল। এ ভদ্রলোকের সঙ্গে অন্ততঃ হিন্দিটা চলনসই আউড়ে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নিতে পারবে। দিন গুজরান করতে গেলে ওটুকু তো লাগেই। এসব সাতপাঁচ ভেবে লিফ্ট না থাকার সমস্যাটা পাশ কাটিয়ে গেছিল চৈতি। কিন্তু কি থেকে যে কি হয়ে গেল...
‘আহ!’ বিছানায় পাশ ফিরতে গিয়েই কঁকিয়ে ওঠে ঋভু।
ঋভুর ব্যথাটা বাড়ছে একটু একটু করে। এসময় ডাক্তারের চেম্বারে যাওয়া মানে ভাইরাসকে নেমতন্ন করে ঘরে আনা। ভাইরাস যে কার গায়ে সেঁটে আছে কেউ জানে না। চৈতি চটপট মোবাইলটা হাতে নিয়ে বারান্দার দিকে এগোয়। যদি কোনও চেনাজানা ডাক্তারের কাছ থেকে সমস্যার সুরাহা পায়। এই আশায়।
‘আপ কাল আসবেন? আমি নিচুমেই দাঁড়াবে। হ্যাঁ আমাকে... ফোন ...’
চৈতি দেখে, ওর বাবা হাত-পা নেড়ে উল্টোদিকের বাড়ির সেই লোকটার সঙ্গে বাংলা হিন্দি মিলিয়ে কিসব বলে চলেছে।
উফঃ! বাপিও না। কি বলছে ওই লোকটার সঙ্গে?
‘কি হয়েছে বাপি?’ লোকটা ঘরে ঢুকতেই জিজ্ঞেস করে চৈতি।
‘আরে ও জল এনে দেবে বলেছে। কাল আসবে। দেখিই না চেষ্টা করে। বলছিল হাতে কাজ নেই।‘
‘তুমি ছাড়ো তো। লোকটা রাজমিস্ত্রির কাজ করে। সাতরাজ্য ঘোরে। কি ভাবছ! বাড়িওয়ালা একে ঢুকতে দেবে? বউ, মেয়েগুলো সারাদিন ঝামেলা করে। একটা বাথরুম নেই। ছাদেতেই প্লাস্টিক টাঙিয়ে কাজকম্ম সারে। উত্তর দিক থেকে হাওয়া এলে যা গন্ধ ছাড়ে টেকা দায়। ওরা এনে দেবে জল? তাহলেই হয়েছে?’ সুবিনয়বাবু চৈতির কথা শুনে একটু একটু করে ঘরের দিকে পা বাড়ান। দেখেন দরজার পাশে রাখা প্লাস্টিকের বোতলে আর মাত্র দেড় দিনের জল অবশিষ্ট। তারপর?
**
‘বাপি ও বাপি ওঠো দেখো তো। কে ফোন করছে? ছেলেটাকে খাওয়াচ্ছি। মা বাথরুমে...।‘ মেয়ের ডাকে উঠে সুবিনয়বাবু কানে ফোনটা নিয়েই দৌড়ন সিঁড়ির দিকে। ব্যাপারটা পরিষ্কার না হলেও আবছা একটা ধারণা করে ছেলেকে ঋভুর কাছে বসিয়ে চৈতিও ছোটে। যত নীচে নামতে থাকে তত তর্কাতর্কির আওয়াজ কানে আসতে থাকে। কারণটা যে কী তা গ্রাউন্ড ফ্লোরে পা দিতেই বুঝতে পারে।
পাশের বাড়ির লোকটা জলের জার কাঁধে হাজির। বাড়িওয়ালা থেকে কেয়ারটেকার তাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে। সুবিনয়বাবু, চৈতি সেখানে পা ফেলামাত্র এই মারে কি সেই মারে সিচুয়েশনের সৃষ্টি হয়। তারপরের পাক্কা একঘন্টা যা কেটেছে তা আর কহতব্য নয়।
**
রাতে শুয়ে শুয়ে একের পর এক কলকাতার নিউজ চ্যানেলগুলো ইউটিউবে সার্চ করছিল চৈতি। ঘুম আসছে না চোখে। নিস্তব্ধ নিশাচরের মত ভাইরাসটা একের পর এক শহরগুলো কব্জা করছে। কি করে মুক্তি মিলবে এর থেকে?
নাঃ আজ আর এসব ভাববে না। উঠে একবার জল খায়। সবাই কেমন নিশ্চিন্তে ঘুমোচ্ছে। যা ঝক্কি গেল! লোকটাকে দেখে বাড়িওয়ালা তুমুল অশান্তি শুরু করে। কিছুতেই ওকে ঢুকতে দেবে না। লোকটাও ছেড়ে কথা বলেনি। মাস্কের আড়াল থেকেই তেড়ে ঝগড়া করছিল কেয়ারটেকার ভদ্রমহিলার সঙ্গে। কথায় বোঝা যাচ্ছিল কেয়ারটেকার তার স্বজাতি। তেলেগু। ওদের কথার বিন্দু-বিসর্গ বুঝতে না পারলেও চৈতি এটুকু বুঝতে পারছিল লোকটা প্রাণপণ জল নিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকার চেষ্টা করে চলেছে। খুব রাগ হচ্ছিল নিজের বাপীর ওপর। ততক্ষণে বাড়িওয়ালা ওদের অপমানসূচক অনেক কথাই বলতে শুরু করেছিল। এভাবে কাহাতক কথা শোনা যায়?
মালিক পক্ষের পাল্লা ভারী। লোকটা চলে গেছিল। চৈতি আর ওর বাবাও ফিরে আসছিল। কিন্তু তিনতলার হাফ ল্যান্ডিংয়ে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আবার সুবিনয়বাবুর ফোনটা বাজতে শুরু করে। দৌড়ে নীচে নামে দুজনেই। নামতেই দেখে, লোকটা আবার এসেছে। সঙ্গে একটা খাঁকি পোশাকের পুলিশ। লোকটা পুলিশ এনেছে? হ্যাঁ, লকডাউনে সাধারণ মানুষ যখন প্রয়োজনীয় জীবনধারণের জন্য বিপদের মুখোমুখি হচ্ছে তখন নিরুপায় হয়ে পুলিশের সাহায্য নিচ্ছে। খবরে শুনছিল। তাই বলে? লোকটা গরগড়িয়ে পুলিশটাকে বুঝিয়ে বলে যাচ্ছিল চৈতীদের সমস্যা।বাড়িওয়ালারাও জড়ো হয়ে গেছিল।তারাও নিজেদের যুক্তি খাটিয়ে যাচ্ছিল।সবকিছু শোনার পর পুলিশটা তেলেগু ভাষাতেই যা বলেছিল পরে লোকটার মুখে হিন্দিতে চৈতি সেটা শোনে। যার বাংলা করলে এই দাঁড়ায়, ‘জল ও বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় সামগ্রী বাড়ি বয়ে কেউ এনে দিতে পারে। সেটা বাড়িওয়ালা কখনই নিষেধ করতে পারে না। তবে বাইরের লোকের সঙ্গে দূরত্ব বজায় রাখতে হবে।‘
পুলিশের কথা শুনে বাড়িওয়ালা পথ ছেড়ে দিয়েছিল ঠিক কথাই। জলও চৈতির ঘরের দরজায় এসে গেছিল। লোকটা কথাও দিয়েছিল যে সে প্রতিদিন জল দিয়ে যাবে। কিন্তু চৈতিকে অবাক করছিল। লোকটা সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ওখানে নিয়ে এল কী করে? প্রশ্নটা না করে চৈতি থাকতে পারেনি। উত্তরে লোকটা বলেছিল, ‘আমি তো ঘরে ফিরে যাইনি। আপনার মালিক না করাতেই বুদ্ধিটা মাথায় এসে গেছিল। মোড়ের মাথার ডিউটি করা স্যারকে ডেকে আনি। বলি, আপনার ঘরে বাচ্চা আছে। বিমার বুড়ো লোক আছে। আর তারপরেই...’
লোকটাকে কি বলবে কোনও উত্তরই খুঁজে পাচ্ছিল না চৈতি। সন্দেহের মন যদিও বারবার বলছিল রোজগারের অভাবে লোকটা একটা চেষ্টা করেছে মাত্র! তবুও মনের এক কোনা থেকে একটা কথা বারবার উঠে আসছিল, একটা জলের বোতলে মাত্র ৬০/। এটুকু আয়ে তার পরিবারের চারটি পেটের কোনও সংস্থানই হবে না। তাহলে?
চোখের সামনে ভেসে উঠছিল খুব ছোটবেলায় দেখা কোনও একটা সিনেমার সাদাকালো দৃশ্য। চ্যাপ্টা ধরণের মশক কাঁধে যুদ্ধশেষে এক আপাতঃক্লান্ত প্রৌঢ় জখম, মৃতপ্রায় সৈনিকদের মুখে জল ঢেলে দিচ্ছে তার ঝোলা থেকে। শেষ বিকেলের পড়ন্ত রোদের কমলা আলোটা অদ্ভুতভাবে দিব্যজ্যোতি নিয়ে মেখে আছে সেই মশকওয়ালার অজস্র ভাঁজওয়ালা বলিরেখায়।
তাহলে কি…?
লেখক পরিচিতি
২০০৪ সালে প্রথম প্রকাশিত নিবন্ধ উনিশ কুড়ি পত্রিকায়। তারপর থেকে আনন্দমেলা, আনন্দবাজার পত্রিকা, শুকতারা, কিশোর ভারতী, সন্দেশ, শিলাদিত্য প্রভৃতি প্রথম সারির পত্রিকায় গল্প প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত গল্পগ্রন্থ 'ছয় আঙুলের ফাঁদ', 'ভয় পাওয়ার ঠিক পরে'।
Darunnn besh.....
ReplyDeletedarun hoyeche didi
ReplyDeleteতোমার কলমের জোর আছে... তোমার লেখা পড়তে খুব ভালো লাগে....আর তোমাদের ওখানকার কষ্টের কথা পড়লে এতো কষ্ট হয় যে কি বলবো মা.... তোমরা ভালো থেকো...
ReplyDelete