চখাচখি
দেবজ্যোতি ভট্টাচার্য
“তিয়াস, এই তিয়াস—”
বেশ খানিকক্ষণ ধরে ডাকাডাকিটা চলছিলই। তিয়াস বারকয়েক কানের ওপর বালিশ চাপা দিয়ে ডাকটা এড়াবার চেষ্টা করল। শেষমেষ না পারতে বালিশ থেকে মুখ তুলে চোখ পিটপিট করে রাগ রাগ গলায় বলে, “উঃ আর জ্বালিও না তো মা! কাল কত রাতে শুয়েছি জানো তো-”
বলতে বলতেই মায়ের মুখের দিকে চোখ পড়তে একটু সন্ত্রস্ত গলায় জিজ্ঞেস করল, “কী হয়েছে?”
“তোর ঠাম্মাকে পাওয়া যাচ্ছে না রে।”
ধড়মড় করে উঠে বসল তিয়াস, “সে কী? কেক, পার্টি, সব সেলিব্রেশান রেডি আর বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীর সকালে নায়িকা উধাও?”
“মজা করিস না তিয়াস,” মা’র গলায় উদ্বেগের ছোঁয়া, “একাএকা পথেঘাটে বুড়োমানুষ--”
“কেসটা বলো,” উঠে তাড়াতাড়ি শার্টটা গায়ে গলাতে গলাতে তিয়াস বলল।
“সকালবেলা সদরে তালা দিয়ে রেখে রায়কতপাড়ার কালীবাড়িতে ওঁদের নামে পুজো দিতে বেরিয়েছিলাম। খানিক আগে ফিরে প্রসাদ নিয়ে ওঁদের ঘরে গিয়ে দেখি মা বিছানায় নেই। খিড়কির দোরটা খোলা হা হা করছে।”
“মর্নিং ওয়াকে বেরোয়নি তো?”
উঁহু। বিয়ে হয়ে এসে ইস্তক কোনদিন তো দেখিনি সকালে তোর দাদুকে চা না দিয়ে কোথাও গেছেন। বেছে বেছে শেষে আজকের দিনটাতেই এরকম করবেন নাকি?”
“দাদু-”
“সে আর এক মুশকিল। একটু আগে জেগেছেন। চা নিয়ে যেতে বললেন, ‘বৌমা তুমি কেন? অণু কোথায়?’ তারপর সব শুনে চা টা না খেয়েই একেবারে বাসিমুখে বেরিয়ে চলে গেলেন খুঁজতে। একটা কথা শুনলেন না। সঙ্গে মোবাইল টোবাইলও কিছু নেই, চোখেও দেখেন না ভালো! আমি যে কী করি!”
“দাদুর সাথে কোন ঝগড়াটগড়া মনকষাকষি হয়নি তো?”
মা ঠোঁট ওলটালেন, “সে তো রোজকার ব্যাপার। খিটিরমিটির লেগেই আছে সকালবিকেল। কালকেও তোর দাদুর ওষুধ খেতে ভুলে যাওয়া নিয়ে খানিক বকাঝকা হল। কিন্ত ওতে করে-”
“হুম।তা-ও বটে। তা আমায় বা বাবাকে আগে ডাকলে না কেন?”
“তোর বাবা অনেকক্ষণ আগেই ঘুম থেকে উঠে খুঁজতে বেরিয়ে গেছে স্কুটার নিয়ে। আর তোকে আমি কতক্ষণ ধরে ডাকছি জানিস? আয় এখন। তাড়াতাড়ি কর--”
তাড়াতাড়ি নিচে নেমে এল তিয়াস। মনামী ডেকরেটার্সের গোপীনাথদা ঠোঁটে একটা বিড়ি ঝুলিয়ে প্যান্ডেলের তদারক করছিল উঠোনে। ওকে দোতলা থেকে নামতে দেখে বলে, “তিয়াসবাবা দেইখা যাও দাদুগোর লাইগ্যা কী জব্বর বেদি বানাইছি একখান! তুমার ছুটকাকার নকশার সঙ্গে মিলাইয়া লও। চুক পাইবা না কোন। শিলিগুড়ি থেইক্যা স্পেশাল সিংহাসন আনাইছি-”
বেদিটা সত্যিই বেশ জমকালো হয়েছে। সিংহাসনটাও। এ সবই হচ্ছে ছোটকাকার প্ল্যান অনুযায়ী। ওর উৎসাহেই দাদু-ঠাকুমার বিয়ের সুবর্ণজয়ন্তীটা করা। সিয়াটলে বসে বসে গোটা অনুষ্ঠানটার প্ল্যান, নেমন্তন্নের লিস্ট থেকে শুরু করে কেক-এর ডিজাইন, রাতের লোক খাওয়াবার মেনু সবকিছু পাঠিয়ে চলেছে গত একমাস ধরে। আজ দুপুরের মধ্যে কাকিমাকে নিয়ে এসে পৌঁছোবার কথা ছোটকাকার। এতক্ষণে দিল্লি পৌঁছে গেছে প্রায়। নেমেই তো প্রথমে বাড়িতে ফোন করে ঠাম্মাকে চাইবে। বাড়ি জুড়ে প্যান্ডেল, একপাশে বেদির ওপরে ‘শুভ সুবর্ণজয়ন্তী’ লেখা বোর্ড, সব কেমন ফ্যাকাশে ঠেকছিল তিয়াসের।
ফোনটা বেজে উঠল একবার। হাসপাতাল থেকে বাবার কল। ওখানে কিছু নেই। কাছাকাছি আত্মীয়স্বজনদের বাড়িতেও যাননি। মন্দিরটন্দিরে খুঁজে লাভ নেই। ঠাম্মা আর দাদু দু’জনই ঘোর নাস্তিক। বাবা থানায় খবর দিতে যাচ্ছেন এখন। বললেন, “তুই সাইকেলে একটু বের হয়ে এদিক ওদিক দ্যাখ তো!”
।২।
বান্ধব নাট্য সমাজের একহারা গড়ণের দোতলা বাড়িটার সামনে দাঁড়িয়েছিলেন তাঁরা দুজন। বৃদ্ধের চোখে বহুকালের চেনা সেই হাসিটা তিরতির করছে। “সেই প্রথমবারের কথা মনে আছে অণু?”
“মনে নেই আবার? কী যে রাগ হয়েছিল তোমার ওপর! অত কষ্ট করে পার্ট মুখস্ত করলাম, আর স্টেজে উঠে তুমি কিনা কিউ গুলিয়ে বেমালুম পরের ডায়ালগে চলে গেলে! কথাগুলো বলবার সুযোগই পেলাম না আমি।”
“ভাগ্যিস করেছিলাম। শোয়ের পরে রণরঙ্গিনী হয়ে তেড়ে এলে, আর আলাপটাও অমনি হয়ে গেল।”
“সেই বুদ্ধি করেই অমনটা করেছিলে নাকি?”
হেমেন্দ্র হাসলেন একটু। জবাব দিলেন না। একটু রহস্য থাক না!
বেলা বাড়ছে। অণুশীলা একটু চঞ্চল হচ্ছিলেন। হেমেন্দ্রর হাত ধরে মৃদু টান দিয়ে বললেন, “একসঙ্গে ঘুরে সুবর্ণজয়ন্তী সেলিব্রেশান হল তো? এবার চলো। দেরি কোরো না। বাড়িতে ওদিকে ওরা-”
“ড্যাম ইয়োর বাড়ি। সন্ধের পরে কেক কাটবে, মালা পরিয়ে চেয়ারে বসাবে। তখন গিয়ে সং সেজে বসলেই হবে’খন। এখন আমরা হাঁটব। শুধু আমরা দুজন।”
অণুশীলা মুখ লুকিয়ে হাসলেন একটু। দেখিয়ে হাসা যাবে না আবার। যা মেজাজি মানুষ! খারাপ লাগছে না অবশ্য। কতকাল পরে—সেই প্রথমদিকের বছরগুলোর মতন—
“কামরাঙা মাখা কিনবে?”
হেমেন্দ্র একটু থমকে দাঁড়ালেন। ডাক্তারের নিষেধাজ্ঞাগুলো একদল বেয়নেট উঁচনো পুলিশের মত ভাসছে চোখের সামনে। বড়বউমা এসব ব্যাপারে বড় শক্ত শাসনে রাখে আজকাল। কামরাঙার নুন লংকা মেশানো টুকরোগুলো কেমন উলসে উলসে খেতো অণু। তিনিও দু একটা টুকরো তুলে নিতেন মাঝেমাঝে কাঠিতে করে। পকেট থেকে দশ টাকার একটা নোট বের করে দিলেন তিনি, “নিয়ে নাও—”
*****
“আর একটা নেবে নাকি?”
কাঠিতে করে একখানা তারামাছের মত দেখতে নুনলংকায় জারানো টুকরো তুলে মুখে পুরলেন হেমেন্দ্র। গাল ব্যথা করে লালা বের হয়ে আসছে।
“সরে এসো একটুখানি এদিকে,” অণুশীলা খাওয়া বন্ধ করে শক্ত করে তাঁর হাতটা ধরেছেন। বড় ভিড় রাস্তায়। আগে এত ভিড় ছিল না। শীতের দুপুরে কতদিন এই করলার সেতুর ওপর দিয়ে একাকি সম্রাট হয়ে হেঁটে গেছেন তিনি তাঁর রাজ্ঞিকে পাশে নিয়ে। সেসময় সবার সামনে হাত ধরবার চল ছিল না। ভালই হয়েছে সময় পাল্টে।
করলার সেতুর গায়ে শ্বেতপাথরের স্মৃতিফলকটার সামনে গিয়ে এক মুহূর্ত থমকে দাঁড়ালেন হেমেন্দ্র। “১৯৬৮র চৌঠা অক্টোবর রাতে যাঁরা তিস্তার বন্যায় হারিয়ে গেলেন, তাঁদের স্মরণে—”
সুধীন তখন পেটে। জল উঠেছিল কোমর ছাপিয়ে। আসন্নপ্রসবা অণুশীলাকে বুকের কাছে জড়িয়ে ধরে নিয়ে দিকশূন্য জলজমির বুক পাড় খোঁজবার যাত্রা। মৃত্যুকে সেই একবারই মুখোমুখি দেখেছিলেন তাঁরা দুজন—
“মনে পড়ে অণু?”
অনুশীলা মাথা নাড়লেন। একটু অন্যমনস্ক হয়ে গেছেন। হঠাৎ জিজ্ঞাসা করলেন, “হীরণকে মনে আছে তোমার? ও না থাকলে সেদিন—”
বড় প্রিয় ছাত্র ছিল সে অণুশীলার। সেই দুর্যোগের রাত্রে প্রিয় শিক্ষিকার সামনে সামনে সে-ও হেঁটেছিল রাক্ষসী তিস্তার জল ভেঙে, পায়ের স্পর্শে নিরাপদ পথ খুঁজে খুঁজে। তিস্তা তাকে সে রাত্রে ক্ষমা করেনি—
*****
“এসো, ভেতরে গিয়ে বসি।”
যাযাবর রেস্তোরাঁর ছোট্ট একচালা বাড়ি। হেমেন্দ্রর পিছু পিছু ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে অণুশীলা ঠোঁট কামড়ালেন। বাড়িতে তোলপাড় হচ্ছে নিশ্চয় এতক্ষণে। কী যে ভূত চেপেছে আজ এঁর মাথায়! কিন্তু তার পরেই একটা আশ্চর্য বেপরোয়া আনন্দের অনুভুতি ছড়িয়ে গেল তাঁর শরীরেও। একটা প্রায় ভুলে যাওয়া শিরশিরে অনুভুতি ঝংকার তুলছিল তন্ত্রীতে তন্ত্রীতে।
স্টিলের থালায় একূল অকূল ছাপানো একটি চিতল মাছের পেটি—সুগন্ধী চালের ভাত—ম্যানেজারের চেয়ার ছেড়ে উঠে এসে যাযাবর মানুষটি তাঁদের সঙ্গে বসেছেন। বত্রিশ বছরের বন্ধুত্ব। তখন তাঁদের মধ্যযৌবন। স্কুলের টিফিন টাইমে সময় চুরি করে নিয়ে কতদিন দুজনে মিলে নতুন খোলা সেই দোকানের সুগন্ধী খাদ্যের স্বাদ নিয়েছেন—
পেটিটাকে দু’টুকরো করে বড়ভাগটা হেমেন্দ্রর পাতে তুলে দিলেন অনুশীলা।
হেমেন্দ্র হাসছিলেন, “গোটা একখানা করে পেটি আর কোনদিন আমাদের খাওয়া হল না অণু। আগে সামর্থ্য ছিল না, আর এখন—”
“দাঁড়ান বৌদি। আজ ভাগযোগ চলবে না। বিয়ের পঞ্চাশ বছর বলে কথা। আজ আমার অ্যাকাউন্টেই দুজন একটা করে গোটা—”
বৃদ্ধ মানুষটির হাত ছুঁয়ে হেমেন্দ্র নিরস্ত করলেন, “ছেড়ে দেন দাদা। শরীরে সইবে না এখন আর। চিরটাকাল ভাগযোগ করেই তো খেয়ে এলাম দুজনে। আমাদের কপালে ও ছাড়া আর কিছু লেখাই নেই--”
*****
“হাতটা ধর-”
“উঁহু, পারব।”
পাড়ের উঁচু বাঁধ থেকে নেমে বালির চরের মধ্যে ইতিউতি জল বয়ে যায়। শীতের দুপুরে গা এলিয়ে ঘুমিয়ে আছে তিস্তা।
“পারবে জানি। তাও-হাতটা ধর অণু। ফর ওল্ড টাইমস সেক-” হেমেন্দ্র হাতটা বাড়িয়েই রয়েছেন একটু নীচু থেকে।
“তোমার আজ কী হয়েছে বল দেখি? কে কখন দেখে ফেলবে কোত্থেকে-” বলতে বলতেই স্বামীর হাতটা ধরে জলের বুকে এলেন অণুশীলা। এখানে হাঁটুজল। হেমেন্দ্রর কবোষ্ণ হাত। বেশ কিছু স্মৃতি ঘিরে আসে। সেই প্রথমদিকের দিনগুলো—কত অলস শীতের দুপুর কেটে গেছে এই তিস্তার জলে-খোলা আকাশের নীচে-”
“অণু-একবার সেই আগের মত-”
তাঁর চোখের কোণে পাখির পায়ের ছাপ। তাঁর রুপোলী চুলে রুপোলি রোদ্দুর। চোখের জানালায় সেই পুরোনো দুষ্টুমির ঝিকিমিকি একবার খেলে গিয়েই ফের পর্দা নেমে এল, “তৈরি হয়ে আসিনি যে! বাড়িভর্তি লোকজনের সামনে ভেজা কাপড়ে ফেরা—তাছাড়া শীতের অবেলায় স্নান করে শেষে একটা অঘটন ঘটুক আরকি! ”
“বুড়ো হয়ে গেলাম তাহলে?”
“নয়ত কী? শোনো, অবুঝপনা না করে, চলো উঠি। একটুক্ষণ পাড়ে বসে থেকে তারপর বাড়ি যাই।”
বেলা তিনটে বাজে প্রায়। রোদ ঢলছিল। ধূ ধূ তিস্তার রুপোলি বালিভরা বুকে একফালি নীল টুকটুকে জল। তার পাশে দু’জন বৃদ্ধবৃদ্ধা । তাঁদের পা গুলি তিস্তার জল স্পর্শ করে আছে। চোখ সামনের দিগন্তে স্থির।
“ভারী ফাঁকি দিয়েছি ওদের আজ। কী দারুণ প্ল্যানটা করেছিলাম বল তো?”
“সে করেছ। পারোও বটে তুমি। তা, শখ তো মিটল। এবারে উঠবে কী? রোদ ঢলছে যে! সুশীলও বোধ হয় বাগডোগরা থেকে বাড়িতে পৌঁছে গেছে। কী যে হচ্ছে ওদিকে এতক্ষণে--”
“উঁহু। আমাদের প্রোগ্রাম এখনো শেষ হয়নি।”
বালিতে ভর দিয়ে আস্তে আস্তে উঠে দাঁড়াচ্ছিলেন অণুশীলা। কোমরে পুরনো ব্যথাটা একটু একটু জানান দিচ্ছে এতক্ষণে।
“ঢের হয়েছে। ভিমরতি ধরা বুড়ো, তুমি একা একা বসে তোমার প্রোগ্রাম পুরো কর তাহলে। আমি চললাম।”
সামনে ছড়িয়ে থাকা দিগন্তবিস্তৃত নীল আকাশের গায়ে চোখ রেখে অনেকক্ষণ ধরেই কী একটা যেন খুঁজছিলেন হেমেন্দ্র। উঠে দাঁড়াতে উদ্যত বৃদ্ধার হাতটি ধরে তাঁকে পাশে টেনে নিলেন তিনি, “আর বেশিক্ষণ নেব না অণু। এইখানে আজ আমাদের একটা অ্যাপয়েন্টমেন্ট করা আছে যে! আর জাস্ট একটুক্ষণ প্লিজ।”
“কে আসবে এখানে এই ভরা দুপুরে? কী বলছো তুমি ক্ষ্যাপার মত বল তো?”
হেমেন্দ্র আকাশ থেকে চোখ না সরিয়েই হাসলেন এক চিলতে, “একটু অপেক্ষা করো। দেখলেই ঠিক চিনতে পেরে যাবে তুমি। সময় হয়ে এল। আমি জানি ওরা আজ আসবেই--”
বলতে বলতেই তাঁর মুখটি উদ্ভাসিত হয়ে উঠল, “ওই যে। দেখো দেখো— কিপ স্টিল অণু। একদম নড়বে না। ওরা নীরবতা ভালোবাসে--”
রোদমাখা নীল আকাশের বুকে তখন দেখা দিয়েছে একজোড়া চখাচখি। মাথার ওপর চক্রাকারে ঘুরতে ঘুরতে একসময় তাঁদের খানিক দূরে তারা বালির ওপর নেমে এল। পক্ষিণীটিকে ঘিরে পাখিটি লেজ নাচিয়ে ঘোরে। মেটিং ডান্স।
“এইবারে মনে পড়েছে অণু? পঞ্চাশ বছর আগে, আজকের দিনটার কথা? রেজিস্ট্রির ঠিক আগে এইখানটায় বসে আমার হাত ধরে ওইরকম একটা চখাচখির জুড়িকে সাক্ষি রেখে কী বলেছিলে?”
অণুশীলার চোখে স্নিগ্ধ বিদ্যুৎ খেলছিল। ঘাড় নেড়ে, জরাকুঞ্চিত দুটি হাতে বৃদ্ধের হাতদুটি ধরে তিনি ফিসফিস করে বললেন, “ভালোবাসি--”
স্তব্ধ চরাচরে নতুন করে বলে ওঠা সেই কথাগুলো কেউ শুনল না। সাক্ষি রইল শুধু তিস্তার চর আর সেই চিরকালের পক্ষিদম্পতি।
অলঙ্করণঃ ডাঃ সায়ন্ন্যা দাশদত্ত
লেখক পরিচিতি
জন্ম ও বড়ো হয়ে ওঠা নৈহাটিতে। শিশুদের জন্য প্রথম পূর্ণাঙ্গ ওয়েব ম্যাগাজিন ‘জয়ঢাক’-এর প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক। বাংলাভাষার বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ছোটো ও বড়োদের জন্য দীর্ঘকাল নিয়মিত লেখালিখি। মোট প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশটিরও বেশি।
No comments:
Post a Comment